
শীত বাড়ছে। বাড়ছে করো’না সংক্রমণও। ঝুঁ’কি বাড়ায় স্বাস্থ্যবিধি মানার ক্ষেত্রে গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার। সংক্রমণ ঝুঁ’কি বাড়ায় মাস্কসহ সব সুরক্ষা পণ্যের দামও আবার বাড়ছে।
৮-১০ দিনের ব্যবধানে প্রকারভেদে প্রতিটি মাস্কের দাম ২ থেকে ১৫ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। আর বক্সপ্রতি দাম বেড়েছে প্রায় ৪০ থেকে ৮০ টাকা পর্যন্ত। গতকাল রাজধানীর বেশ কয়েকটি এলাকায় খোঁজ নিয়ে এমনটিই জানা গেছে। দাম বৃদ্ধির পেছনে আম’দানিকারক ও উৎপাদনকারীদের দায়ী করছেন বিক্রেতারা।
তারা বলছেন, সংক্রমণ বৃদ্ধির আশ’ঙ্কায় মানুষকে সচেতন করতে মাঠে নেমেছে প্রশাসন। স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলা ও মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক করেছে সরকার। মাস্কের ব্যবহার নিশ্চিত করতে ভ্রাম্যমাণ আ’দালতের অ’ভিযানও চলছে।
অ’ভিযানে জ’রিমানার পাশাপাশি মাস্ক বিতরণও করা হচ্ছে। এ অবস্থায় চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় আম’দানিকারকরা মাস্কের দাম বাড়াচ্ছেন বলে মনে করছেন তারা। ক্রেতারাও বলছেন, চাহিদা বাড়ার কারণে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী অ’তিরিক্ত মুনাফা লাভের আশায় মাস্কের দাম বাড়াচ্ছেন।
কাওরান বাজারের সোনারগাঁও রোডের ফুটপাথে বসে করো’না সুরক্ষা সামগ্রী বিক্রি করেন সাইদুল ইস’লাম। তিনি জানান, গত ৮-১০ দিনের ব্যবধানে সব ধরনের মাস্কের দাম বেড়েছে। মান ভেদে সার্জিক্যাল মাস্কের দাম বেড়েছে ৫ থেকে ১০ টাকা।
কিছুদিন আগে মাঝারি মানের মাস্ক ৩ পিস ১০ টাকায় বিক্রি হয়েছে সেগুলো এখন প্রতি পিস ১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আগে বক্সপ্রতি যে মাস্কগুলো ৮০ টাকায় বিক্রি হয়েছে সেগুলো এখন বক্সপ্রতি ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া কাপড়ের তৈরি বিভিন্ন মানের মাস্কের দামও ৫ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।
সরজমিন দেখা যায়, রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় মাস্ক পরার বিষয়ে সচেতনতামূলক অ’ভিযান অব্যাহত রয়েছে। গণপরিবহনের যাত্রী থেকে শুরু করে পথচারী ও ব্যবসায়ীসহ সব শ্রেণির মানুষের মাঝে এ অ’ভিযান চালানো হচ্ছে। এতে মাস্ক ব্যবহার বাড়ছে। যাদের মাস্ক ব্যবহারে অনীহা ছিল তারাও এখন বাধ্য হয়ে মাস্ক ব্যবহার করছেন।