
সন্ত্রাসী কাজে ভারত জড়িত রয়েছে বলে ‘অকাট্য প্রমাণ’ পেশের কয়েক দিনের মাথায় পাকিস্তানকে সমর্থন করেছে চীন। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ইসলামাবাদের প্রচেষ্টারও প্রশংসা করেছে বেইজিং।
শুক্রবার এক টুইটে চীনা পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান বলেন: আন্তর্জাতিক সন্ত্রাস-দমন প্রচেষ্টায় পাকিস্তানের ইতিবাচক অবদানের প্রশংসা করে চীন এবং সন্ত্রাসী শক্তির বিরুদ্ধে পাকিস্তান যে দমন অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে তাকেও দৃঢ়ভাবে সমর্থন করে।
পরমাণু সমঝোতা বাদ দিয়ে ইরানের সঙ্গে নতুন করে চুক্তি স্বাক্ষরের জন্য আমেরিকার নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সৌদি আরব।
জাতিসংঘে নিযুক্ত সৌদি আরবের স্থায়ী প্রতিনিধি আব্দুল্লাহ আল-মুয়াল্লেমি গতকাল (রোববার) এই আহ্বান জানানোর পাশাপাশি ইরানের বিরুদ্ধে তার দেশের কিছু ভিত্তিহীন অভিযোগেরও পুনরাবৃত্তি করেছেন।
‘পরমাণু সমঝোতা মরে গেছে’ বলে দাবি করে তিনি বলেন, বাইডেনকে ইরানের সঙ্গে নয়া চুক্তি সই করতে হবে।
সৌদি পাররাষ্ট্রমন্ত্রী ফয়সাল বিন ফারহান আলে সৌদও রোববার এক বক্তব্যে ইরানের বিরুদ্ধে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের ‘সর্বোচ্চ চাপ’ প্রয়োগের নীতি সমর্থন করেন।
তিনি তেহরানের সঙ্গে ওয়াশিংটনের সম্ভাব্য যেকোনো চুক্তিতে রিয়াদকে অন্তর্ভুক্ত করার আহ্বান জানান।
ট্রাম্প প্রশাসন ২০১৮ সালের মে মাসে ইরানের পরমাণু সমঝোতা থেকে বেরিয়ে গিয়ে তেহরানের ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে শুরু করে যা এখনো চলছে।
ওয়াশিংটন দাবি করছে, তারা ইরানের সঙ্গে এমন একটি চুক্তি সই করতে চায় যাতে আমেরিকার কাঙ্ক্ষিত সবগুলো বিষয়কে অন্তর্ভুক্ত করা যায়।
ট্রাম্প প্রশাসন এমন সময় এ দাবি করছে যখন তারা আন্তর্জাতিক আইন ভঙ্গ করে এর আগের চুক্তি থেকে বেরিয়ে গেছে। কাজেই আবার চুক্তি সই করলে তা থেকেও যে ওয়াশিংটন আবার বেরিয়ে যাবে না তার কোনো গ্যারান্টি নেই।
ট্রাম্প প্রশাসনের আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনকারী এই পদক্ষেপের প্রতি সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন ও ইসরাইল ছাড়া বিশ্বের আর কোনো দেশ সমর্থন জানায়নি; বরং বিশ্বের বেশিরভাগ দেশ এই পদক্ষেপের নিন্দা জানিয়েছে।